ইরান বনাম ইসরায়েল: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
বর্তমান বিশ্বে মধ্যপ্রাচ্য একটি উত্তপ্ত ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চল। এই অঞ্চলের দুই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি – ইরান এবং ইসরায়েল। উভয় দেশই সামরিক দিক থেকে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে সদা সচেষ্ট। তবে প্রশ্ন হলো, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে? চলুন বিশ্লেষণ করি।
🪖 সামরিক বাহিনীর আকার
ইরান:
-
সক্রিয় সেনা সদস্য: প্রায় ৫,৭৫,০০০
-
রিজার্ভ: প্রায় ৩,৫০,০০০
-
আধাসামরিক বাহিনী (Basij, IRGC): অতিরিক্ত কয়েক লাখ
ইসরায়েল:
-
সক্রিয় সেনা সদস্য: প্রায় ১,৭০,০০০
-
রিজার্ভ: প্রায় ৪,৫০,০০০
-
বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা রয়েছে (পুরুষ ৩ বছর, নারী ২ বছর)
👉 সংখ্যার দিক থেকে ইরান এগিয়ে থাকলেও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বেশি প্রশিক্ষিত ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত।
🛩️ বিমান বাহিনী
ইসরায়েল:
-
চতুর্থ প্রজন্ম ও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, বিশেষ করে F-35I Adir এর একমাত্র মধ্যপ্রাচ্য অপারেটর
-
প্রায় ৬০০+ বিমান ও হেলিকপ্টার
-
উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম
ইরান:
-
পুরনো সোভিয়েত ও আমেরিকান যুদ্ধবিমান (F-4, MiG-29)
-
নিজস্ব ড্রোন প্রোগ্রাম শক্তিশালী, যেমন Shahed সিরিজ
-
বিমানবাহিনী প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে
📌 এই দিক থেকে ইসরায়েল অনেক এগিয়ে।
🚀 ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তি
ইরান:
-
শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি (Shahab, Fateh সিরিজ)
-
আঞ্চলিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা
-
ড্রোন উৎপাদনে স্বনির্ভর
ইসরায়েল:
-
উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Iron Dome, David’s Sling, Arrow)
-
উচ্চপ্রযুক্তি সমন্বিত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যালান্স
✅ আক্রমণাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে ইরান এগিয়ে, তবে প্রতিরক্ষা ও নিখুঁত নিশানায় ইসরায়েল শ্রেষ্ঠ।
🌐 সাইবার যুদ্ধ
ইসরায়েল:
বিশ্বের অন্যতম সেরা সাইবার সক্ষমতা। Stuxnet এর মতো উদাহরণ ইসরায়েলের সাইবার কার্যক্রমের প্রমাণ।
ইরান:
সরকার সমর্থিত হ্যাকার গ্রুপগুলোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সাইবার অপারেশন চালায়। কিন্তু ইসরায়েলের সাইবার সক্ষমতার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে।
🔋 পরমাণু শক্তি
ইসরায়েল:
সরকারিভাবে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্ব স্বীকার না করলেও অনুমান করা হয় ৮০-৯০টির বেশি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
ইরান:
পরমাণু কর্মসূচি এখনো বিকাশে, যদিও আন্তর্জাতিক চাপে তা ধীরগতিতে চলছে। অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে এখনো পৌছায়নি।
Comments
Post a Comment